কবিতার স্বর্ণযুগে পিনাকী বসু (গুচ্ছ)
			প্রসঙ্গটা অবান্তর
তোমার গায়ে-পড়া রোদটাকে ঈর্ষা হয়
অনাদরের আদরেও যে কত সুখ 
বনজুঁই কে দেখেই বুঝেছিলাম। 
তবুও কতটা পথ পেরোলে 
লাল টিপ চোখ বুঝবে 
সে প্রসঙ্গ অবান্তর
সব অভিমান গুণেও তো রাখিনি। 
আসলে, প্রতিটা মানুষই 
আলাদা আলাদা বৃষ্টিতে ভেজে 
তাই হয়ত,সব সম্পর্কের নাম হয় না।।
চিঠির অপেক্ষায়
বহুদিন চিঠি লেখো না -
পুরাতন চিঠিগুলো
সাজিয়ে রেখেছি জলপট্টির মতন 
জ্বর এলে 
অসুস্থ শহরটায় তোমাকেই খুঁজি
জিরাফের দাগগুলো 
ছায়ারঙের মত আবছা হয়ে এসেছে 
ওরাও জানে আমার অসুখ 
জানে,বাসি অন্ধকারে আমি ডাকবাক্স হাতড়াই
ভুল বোঝাগুলো রিফু করি 
ভাবি- যেটুকু দেখা যায় 
সেটাই হয়ত পথ ছিল।।
শব্দের প্রকারভেদ
এই যে নিঃশ্বাস আর প্রশ্বাস 
গা ঘেঁষাঘেঁষি করে উঠছে আর পড়ছে 
একটু ভেবে দেখলে 
এরা নিছকই মাটি ছাড়া আর কিচ্ছু নয়
গড়পড়তা পুরুষ 
এখানেই সবকটা ঘাসজন্ম আগলে রাখে 
আর নারীরা তখন শুধুই অন্নপূর্ণা 
 আয়নায় লেগে থাকা টিপ 
আর গায়ে গায়ে লেগে থাকা ভালোবাসারা 
তাদের বিষাক্ত শব্দগুলোকে 
লাল- সাদায় ভাগ করে নেয়
বহুদিন পর পর 
কয়েকটা পাতাবাহার স্বপ্নে আসে।।
						
			
		 
	
0 Comments.