- 9
- 0

'আমার মেয়েবেলার সেই সময়টায় স্কুলে এসেই জল খাওয়াটা খুব বেড়ে যেত আমার। ফার্স্ট পিরিয়েড খুব মন দিয়ে করতাম। হয় বাংলা নাহলে ইংরেজি ক্লাস হত। ভাল লাগত । অসুবিধা হত না। তবে 45 মিনিট ক্লাস করার পর মাথাটা ছাড়ানোর জন্য ক্লাসের বাইরে আমাকে যেতেই হোত। আর পরের ক্লাস যদি অংক বা ফিজিক্যাল সায়েন্স হত ,,, তাহলে তো কোনও কথাই নেই। বাইরে বেরোতামই। মনিটরের কোনও কথা শুনতাম না ।
আর মনিটররা না ছাড়লে
ক্লাসে বসে ওদের সঙ্গেই অনর্গল কথা বলতাম। টিচার দেখলে ঝাড় খেত মনিটররা। অনেক রকমই চাপ ছিল ওদের। দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভাল। তাই আমাকে কেউই আর তেমন আটকাত না।
যা বলছিলাম সেই সময় মানে শীতকালটা অত
পড়াশুনোর ঝামেলা থাকত না। খুব সকালে ফুল টুল তুলে মালা গেঁথে,,, তারপর এক ঘন্টা গান করে আমার ছুটি। তখন আমি কোয়ার্টার এর সামনে বাগানে চেয়ার বা মাদুর পেতে বসতাম। পা দুলিয়ে দুলিয়ে কমলালেবু খেতাম। গাঁদা ফুলের পাপড়ি গুলো সব ছিঁড়ে একটা উঁচু মতো যেটার ওপর পাপড়ি গুলো আটকে থাকত
মনে হয় ওটাই বৃতি। ওটা খেতাম। এক বান্ধবী শিখিয়েছিল খেতে।। মা বাগানে একটা থালায় করে বা কুলোতে করে নুন হলুদ লঙ্কা একটু সামান্য সরষে বাটা মাখিয়ে পাকা কুল শুকোতে দিত। সারি সারি কাচের বয়ামে কুলের আচার,,, আহা কী তার স্বাদ!
মাদুর পেতে মা লেপ রোদে দিত। আমি আর ভাই ঐ লেপের তলায় ঢুকে ঘর ঘর খেলতাম। কখনও আবার আরামে ঘুমিয়েই পড়তাম।
0 Comments.