Mon 20 October 2025
Cluster Coding Blog

গল্পেরা জোনাকি তে রীতা চক্রবর্তী (পর্ব - ১০)

maro news
গল্পেরা জোনাকি তে রীতা চক্রবর্তী (পর্ব - ১০)

নর্মদার পথে পথে

আমি চোখ মুছে দেখলাম অনেক লম্বা দুটো ধবধবে ফর্সা পা আর সাদা ধুতি পড়ে কেউ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে ব্যাগে হাত ঢুকিয়েছি। মনের মধ্যে তখন সাইক্লোন চলছে। ভাবছি এই সজ্জনব্যক্তি আমাকে অবধারিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করলেন। টাকাপয়সা বেকার মনে হচ্ছে। কি হতো যদি উনি আমাকে হেল্প না করতেন? তখন আমার মুঠোয় যতগুলো টাকা একবারে উঠেছে সেগুলো ওই বাড়ানো হাতে দিয়ে দিয়েছি। চোখেরজল শেষ হচ্ছেনা। আমি দুহাত জোড় করে প্রণাম করলাম। উনি বললেন,"কোই বাত নেহিঁ। এইসা তো হোতা রহতা হ্যায়। য়হ সব খেল হ্যায় মাঁইকি। কোই চিন্তা না করেঁ। মাঁইয়াঁ কি কৃপাদৃষ্টি সদা রহেগি আপ পর। রোও মত। সবকুছ ঠিক হো যাবেগা। বেফিকর রহো।" বলে কোনদিকে চলে গেলেন জানিনা। প্রায় ঘন্টাখানেক ওখানেই বসে রইলাম। এখন ভিড়টাও আর নেই। মন্দিরের লোকজনের আনাগোনাও কমে গেছে। আমরাও ধর্মশালায় ফিরে আসছি। গেটের কাছে দেখি আমাদের গ্রুপের দুজন ভদ্রলোক একটা অটো থেকে নামছেন। আপনারা কোথায় গিয়েছিলেন? জিজ্ঞেস করতেই বললেন "কপিলধারায়।" আর তো সময় নেই। এই বেলাতেই ঘুরে এলাম। আমাদের সবাই তখন ইতস্তত করছে দেখে আমিই বললাম, চল, আমরাও ঘুরে আসি। তখন ওই অটোওয়ালার সাথেই সাইট সিয়িং এর জন্য বেরিয়ে পড়লাম।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register