Sat 25 October 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ১)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে নীলম সামন্ত (পর্ব - ১)

ব্রহ্মমুখী সূর্য ও রেবতী রেবতী ঠোঁ

অষ্টম গর্ভে সূর্যমুখী ফুল ফুটেছিল, আমি চেয়েছিলাম দুষ্টের দমন। দুষ্ট আসলে কে? ঢং ঢং করে ঘন্টা বাজছে, শ্রীকৃষ্ণের নীল বিগ্রহের সামনে বসে আছি। এ এক অপূর্ব দহন। মনে পড়ছে, গুরুপূর্ণিমার দিন ভোরে আমার তীব্র উপাসক একটা একটা করে পদ্ম ফোটাচ্ছিল আর নাভিতে রেখে দিচ্ছিল নদীজন্ম। আজ সব পুড়ে যাচ্ছে, আমি চাইছি গুরুগম্ভীর সমস্ত পোড়া দাগ থেকে গর্জে উঠুক উজানীস্বর।

একি আমার রাগের কথা? জানিনা। রিপোর্টে লেখা আছে সেরোটোনিন হরমোন ঘুমিয়ে পড়েছে যুদ্ধবিরতি ভেবে৷ এখন উপাসনার সময়৷ ষড়রিপুর দহন৷ আমার সামনে আমি- দূর দূর চাষ করেছি নীল রঙের ঠোঁট। মাটির ভিতর আলো, আলোর ভিতর ফসল৷ কে ওরা? অন্তর্বাস নিয়ে কথা বলে। শুধু শুধু গোলযোগ। আমি তো জানি, ফসল ঘিরে অযুতনিযুত কালপুরুষ; দেখা যায় না, ফাঁকে ফাঁকে অন্ধকার, অন্ধকারে বিসর্গ, অনুস্বার, খন্ড-ত।

এভাবে হয় না। পদ্মাসনে বসে সূর্যের কথা বলতে হয়। যে সমস্ত আত্মা নিমগাছ থেকে ঝুলে পড়ে কিংবা চোখের সামনে ঘোরে আলোকিত কৃমি হয়ে তাদেরও ডাকি, শ্রোতার আসনে বসিয়ে শোনাই- সূর্যমুখী, পদ্ম এইগুলো সুদর্শন ফুল না হলে হয়তো দেবতা হত৷ কিংবা জীবনের আসন৷ আর ব্রহ্মের নাদ মজ্জা থেকে হরমোনে প্রবেশ করলে টান পড়ত পিনাক টঙ্কারে৷

কে যেন বলছিল মহাশূন্য সহজ পাঠের পদ্য, কবিতায় ফুল ফুটলে মহাশূন্যও আসবে। সীমাহীন মহাশূন্য৷ যেন ঘুম থেকে উঠে দেখছে পৃথিবীটা প্রযুক্তিহীন মহাকাশ। অজ্ঞতা দোষ না৷ অজ্ঞতা পাপ না৷ তাই তাকেও বলি অনাদি-অনন্ত জোড়া ব্রহ্ম - ওই যে ভাইব্রেশন বলো যাকে, উপলব্ধি করো৷ কম্বল আসন বিছিয়ে রাতের অন্ধকারে কথা বলো নক্ষত্রের সাথে। একদিন ঠিক দেখবে তোমার ভাঙা বেড়ার ওপারে চক্রাবক্রা বলয়৷ বলয়ে বসে সূর্যমুখী ভ্রুণ খাচ্ছে রঙিন রঙিন ঘুঘু- ক্রমশ পুরু হচ্ছে রেবতী রেবতী ঠোঁট।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register