Thu 30 October 2025
Cluster Coding Blog

T3 || Valentine's Day Special || সংখ্যায় লোকমান হোসেন পলা

maro news
T3 || Valentine's Day Special || সংখ্যায় লোকমান হোসেন পলা

মাথিনের কূপ এক অমর ভালবাসার নিদর্শন

মাথিনের কূপ এক অমর ভালবাসার নিদর্শন ভালবাসার প্রিয় মানুষটার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে অনিদ্রা আর অনাহারে নিজের সুন্দর জীবনকে চির দিনেরমত বিসর্জন দিয়েছে এক রাখাইন জমিদার কন্যা। নাম তার মাথিন। বিষাদের কষ্ট এবং বেদনা বিধুর প্রেমের বহুল আলোচিত সেই ঘটনার কালজয়ী সাক্ষী আজকের ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ। যা এখনো আকর্ষনীয় হয়ে আছে সীমান্ত উপজেলার টেকনাফ থানা কম্পাউন্ডে। তাই আজ ১৪ ফেব্র“য়ারী বিশ্ব ভালবাসা দিবসের এই দিনে সকল ভালবাসাবাসি মানুষের উদ্দোশ্যে সংক্ষেপে তুলে ধরা হল সেই অমর প্রেমের কাহিনীটি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে দেশের সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত সীমান্ত এলাকা টেকনাফ থানায় বদলী হয়ে আসে ধীরাজ ভট্টাচার্য নামের এক সুদর্শন পুলিশ অফিসার। তৎকালিন সময়ে অনেকটা দুর্গম ও ভয়ংকর জায়গা ছিল টেকনাফ। আর পুলিশের দারোগা ধীরাজ চাকরী করতে আসে সু-দুর কলকাতা থেকে। তাই আতœীয় স্বজনহীন খুবই একাকী সময় কাটাতেন তিনি। ধীরাজ বাবু তার কর্মের ফাঁকে প্রায় সময় থানার বারান্দায় আনমনা হয়ে চেয়ার নিয়ে বসে থাকতেন। টেকনাফ থানা কম্পাউন্ডে ছিল বিশাল একটি পানির কূপ। যেখানে প্রতিদিন পানি নিতে আসতো আশপাশের রাখাইন যুবতীরা। রং বেরংয়ের পোষাক পড়ে পাতকুয়া থেকে কলসী হাতে পানি নিতে আসা এসব সুন্দরী রাখাইন যুবতীর মৃদু কন্ঠে ভেসে আসা সুরলা মধুর গান শুনে মুগ্ধ হয় প্রেমিক দারোগা ধীরাজ। স্থানীয় জনশ্র“তি ও এলাকার প্রবীন লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়, পুরো টেকনাফ জুড়ে এটিই ছিল একমাত্র পাতকুয়া। তাই সেখানে ১৪/১৫ বছর বয়সী সুন্দরী রাখাইন কন্যারা বেশ ভালই আড্ডা জমাতো। একদিন স্থানীয় জমিদার ওয়াং থিনের একমাত্র রূপবতী কন্যা মাথিনকে দেখে মনে মনে ভালবেসে ফেলে ধীরাজ। এরপর থেকে প্রতিদিন ভোর সকালে থানার বারান্দায় বসে মাথিনের আসা-যাওয়া দেখতো এবং হ্নদয় দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে তাদের দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠে ভালবাসার সম্পর্ক। সম্ভব অসম্ভব নানা জল্পনা কল্পনার স্বপ্ন জালে আবদ্ধ হয় ধীরাজ ও মাথিন। কিন্তু মন দেয়া নেয়ার কিছুদিন যেতে না যেতেই কলকাতা থেকে হঠাৎ একদিন দারোগা ধীরাজের কাছে ব্রাহ্মন পিতার জরুরী টেলিগ্রাম আসে। যেখানে তার বাবা লিখেছেন খুব জরুরীভাবে তাকে কলকাতা যেতে হবে। বাবার টেলিগ্রাম পেয়ে ঠিকই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পুলিশ অফিসার ধীরাজ। তবে যাওয়ার আগে দ্রুত ফিরে এসে মাথিনকে বিয়ে করার প্রতিশ্র“তি দিয়ে চলে যাওয়ার পর ধীরাজ আর ফিরে আসেনি। এদিকে ভালবাসার মানুষের ফিরে আসার অধির অপেক্ষায় দিন গুনতে গুনতে অনাহার ও অনিদ্রায় মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে জমিদার কন্যা মাথিন। সেই থেকে পাতকুয়াটির নাম করন হয় ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ।( ছবি টি পাঠিয়েছন, টেফনাফ থানার পুলিশ অফিসার বন্ধু জয়নাল আবেদীন।)

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register