Mon 27 October 2025
Cluster Coding Blog

কবিতায় স্বর্ণযুগে চিরাগ (গুচ্ছ কবিতা)

maro news
কবিতায় স্বর্ণযুগে চিরাগ (গুচ্ছ কবিতা)

১| ইনকিলাব জিন্দাবাদ

রাবেয়া এসেছিলো। অনেক দিনের পর। আজও একই রকম আছে সে। একই রকম থেকে গেছে বলা ভুল হবে। বয়স, একই হবে প্রায়। গানের গলাটাও বরাবরের মতো আজো তেমন ভালো। বয়স বাড়ার সাথেসাথে আরো মিস্টি মনে হলো। শেষ ভিডিওতে ধান ঝারতে ঝারতে গাইছিল সে। শুনতে শুনতে মনে হলো, উপায় থাকলে ছুটে যেতাম কাছে, তাকিয়ে দেখতাম গলার তুলসীর মালা, তার ওঠা আর নামা। আজ তাই কাজের অবসরে রাবেয়া কে মনে পড়তেই রাইটিং প‍্যাডটা দুহাতে তুলে নিলাম। ক্লিপে আটকানো রাবেয়ার গতকাল এসে পৌঁছানো বিকেলের ডাকে আসা চিঠি। বিবেকানন্দ থেকে কয়েকটি লাইন উল্লেখ করেছে, বলেছে এপার ওপার বাস আমাদের । তবু চাইলেই সাঁতরাতে পারিনা কেউ। কারন এপারের জল পুলিশ সদা প্রহরায় থাকে ওপারে যেন না যায় কেউ । ঘুঁষ নিতে যেন জানেনা । কত অন‍্যায় কতো অবিচার কতো ব‍্যাভিচার হয়,আমরা হেরে ফিরি ঘরে। খবরের কাগজে পড়ি কেবল ডাকাতির খবর। আমরা সংস্কার মানি । আমি আল্লাহ কে ডাকি তুমি ঈশ্বরের খোঁজ করো। সেবার সামান্য সময় দেখা হলো। প্রেম জমেছিল করনেটোর মোড়োকে। এবার দেখা হলে বোলো, 'আমাদের বয়স কি সত‍্যি বাড়ল?' তুমি তো পবিত্র দুনিয়ায় থাক। বলতে পারো সারদা মনির জন্ম হল পবিত্র দেহে কৃষ্ণের ও জন্ম হবে পবিত্র কোন গর্ভে। আমারা উভয় দেশের 'সৎপতি' কেন আজো অপবিত্র রইলাম। শুধু মাত্র বাঃ,বেশ, দারুন দারুন, মন ভরে গেল, কয়কটি বাঁধা গতের শব্দ, আওরাতে জানা। নিঃশব্দে ধারণ করতে কবে শিখব আমরা বলো। যেদিন অজস্র ট‍্যাঙ্কার গণ্ডি খানা উপরে দেবে সেদিন অবশ‍্যই চেতনার উদয় হবে। আজ কেবল আত্মকথা আত্মঅহংকারে ভোগা আর বেঁচে থাকা।

২| অসম্পূর্ণ চিঠি

কি জানি! মনে পড়ে না। প্রথম প্রেমটা যেন কেমন ছিল? নাম রাই, হঠাৎ কেনইবা মনে এলো এতো যুগ পরে । ইতিহাস না ইংরাজি তাও মনে নেই। মায়ের সামনে বই থেকে মাটিতে খসে পড়েছিল একটা কাগজর টুকরো। খালি সাদা পাতা এপিঠ ওপিঠ তন্ন তন্ন করে খোঁজা। কোনো লেখা চোখে পড়েনি। কেবল হতাশায় খোঁজা । অসহ‍্য এক আর্ত বেদনা কেউতো বুঝেছিল...... সে রাতেই তার বাড়িতে। সাদা কাগজটি অবিকৃত। -- রাই! -- বলো। --তোমার কাগজটি আমার বইতে ছিল। কিছু লেখা বাকি থেকে গেছে। আজ রোমন্হনের অবসরে ফতেমা শুনে বললো-- এক অমোঘ প্রেম ভালোবেসেছিল।।

৩| দোঁহে

বার্তা রটিছে চ‍ৌদিকে চন্দ্রিমা নেমেছে ধরনীতে। পয়গাম! তাই মিতালি পেতেছি কথা বলেছি পবিত্র ক্ষনে অমৃত যোগে। সে কতো গল্প কতো গাথা কতো জ‍্যোতি কতো স্নিগ্ধতা এক আকাশ প্রেমময় শক্তি আনন্দে ভরল মন, পেলাম মুক্তি। প্রেম ভরে দিয়ে প্রাণে সে বললো কানে -- যেখানে পারো ছড়িয়ে দিও আবির গুলাল, রাঙিয়ে দিও আকাশ পাতাল প্রেম সলিলে সিক্ত কোরো অনুরাগের পয়গাম ছড়িয়ে দিও। স্নিগ্ধ সুবাসে মাতিয়ে দিও। অভিসারের অনুরাগের অনুরণনের বার্তা তুমি রটিয়ে দিও প্রীত বাগিচায় হৃদমাঝারে......... বার্তা বাতাসে ভাসে অবিশ্বাস্য মন আসে। কেউ দেখে বলে রাধা, কেউ বলে শ‍্যাম কেউ বলে সূর্য বার্তা রটে যায় ঝোরো গতিতে প্রায়, আলে, নদী উপকূলে, পাড়ে,শৃঙ্গে, কাশবনে, মাধবীর কোলে অবশেষে চাষার ঘরে............।।

৪| উর্বশী 

বিক্ষিপ্ত শব্দের ভীড়ে চাপা পড়েছে সে । চোয়াল শক্ত, দৃষ্টি তার স্থির,বাক‍্য হীন, ভাবনা লাগাম ছাড়া ছুটে বেড়ায় এদিক ওদিক কার পিছু কে তা জানে? তার ছুটে বেড়ানোর উদ্দেশ্যএক, চায় একটু স্বস্তি আনন্দ প্রেম। অলিক কল্পনা তার - একাই ভাঙে সে একাই গড়ে চলে। আজ মায়ার প্রবেশ দেখেছে সে। ছলে বলে শরীরে প্রবেশ এইগলি থেকে ওইগলি প্রান পাখি বাতাসে মিশে যেতে চায় মায়ার নির্যাতনে । অস্থিরতা ভেদ করে প্রবেশ করে যে 'মায়া' ছাড়া সে কে হতে পারে ? কায়াতে বাসা বেঁধেছে উর্বশী। ছুটিয়ে বেড়ায় করে নাজেহাল অবশেষে ফেলে চলে যায় । কি বলবে প্রেমা! একি শাশ্বত চিরন্তন এক ? এ খেলা কি তবে বিধির বিধান না মায়ার অভিমান আর অভিনয় ?
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register