Sun 26 October 2025
Cluster Coding Blog

গল্পেরা জোনাকি তে রীতা চক্রবর্তী (পর্ব - ৩৭)

maro news
গল্পেরা জোনাকি তে রীতা চক্রবর্তী (পর্ব - ৩৭)

নীল সবুজের লুকোচুরি

  আজ ঠিক এই সময়ে যদি মিঠি আর আরিয়ানকে কেউ লক্ষ্য করে তবে মনে হবে যেন ছোট দুই ভাই বোন একে অপরের সাথে নানা রকম খুনসুটি করে চলেছে। ভাবতেও অবাক লাগে যে দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক বিখ্যাত ডাক্তার কিভাবে ছেলেমানুষি করে চলেছে এই মুহূর্তে। ---- আরিয়ান মিঠির সঙ্গে এসে সুমিতার সাথে পরিচয় সেরে নিজের রুমে চলে গেছে অনেকক্ষণ আগেই। মিঠি গুনগুন করে একটা গানের সুর গাইতে চেষ্টা করছে। কিন্তু বার বার সুরটা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। হাসি মুখে মায়ের কাছে এসে জানতে চাইছিল গানটা সুমিতার জানা আছে কি না! কিন্তু মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে চমকে ওঠে। ভাবে - মা'কে এমন উদভ্রান্ত দেখাচ্ছে কেন? কি হয়েছে মায়ের? জিজ্ঞেস করে, "তোমা কি শরীর খারাপ লাগছে না কি? চোখ মুখ এরকম দেখাচ্ছে কেন? দেখি তো তোমার প্রেসারটা! এই কদিনে তো একবারও নিজের দিকে ফিরে তাকাওনি। একটা দিনও তোমার প্রেসার দেখা হয় নি। এক্ষুণি তোমার প্রেসারটা দেখতে হবে। তার আগে ডঃ দেশিকানকে একটা ফোন করে এখানে ডেকে নিতে হবে। উনি primary checkup টা করে নিলে আমি একটু নিশ্চিন্ত হব, শান্তি পাবো। আমি যে কি করে ভুলে গেলাম তোমার শারীরিক অসুস্থতার কথা?" বলেই তাড়াতাড়ি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতের কাছে নিয়ে আসে। মা কে ধরে শুইয়ে দেয় বিছানায়। আসলে আরিয়ানকে দেখার পর থেকেই সুমিতার পুরনো দিনের কথা মনে পরে গেছে। ওর স্মৃতিতে আয়ানের যে চেহারাটা আঁকা ছিল আজ এত বছর পর সেই চেহারাই যেন ওর সামনে এসে হাজির হয়েছে। সুমিতার মনের অবস্থা তখন ঠিক কেমন ছিল সেটা ও নিজেও বুঝতে পারছিল না। হয়তো হঠাৎ খুব আনন্দ বা দুঃখ হলে এই রকম অনুভূতি সবারই হয়। খুব ইচ্ছে করছিল আরিয়ানের সাথে মন খুলে কথা বলতে। ওকে একটু আদর করতে, আর একটু বেশিক্ষণ আটকে রাখতে। মনে হচ্ছিল আরিয়ান যেন সুমিতারই সন্তান। যেন অনেক দিন পর ছেলে বাড়ি ফিরেছে। যেন সুদীর্ঘ বছর সুমিতা ওর জন্যই অপেক্ষা করে আছে! আসলে ঠিক এইভাবেই তো আয়ানের ফেরার প্রতীক্ষায় সুমিতা দীর্ঘ দিন কাটিয়েছে। আসছি পরের পর্বে
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register