Mon 20 October 2025
Cluster Coding Blog

গারো পাহাড়ের গদ্যকথায় মো.শামীম মিয়া

maro news
গারো পাহাড়ের গদ্যকথায় মো.শামীম মিয়া

কুমুদিনীর কাছে কিছুদিন

আজ চারদিন ধরে মির্জাপুর, টাংগাইল কুমুদিনী হাসপাতাল রোগীর সাথে থাকছি, প্রথমে সাধারণ বেড নিয়েছিলাম তাই কিযে ঝামেলা, সিকিউরিটি ঢুকতে দেয়না যখন তখন। দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৪ টা হলো দর্শনার্থীর সময়। এসময় কোনো কিছুই লাগেনা! এর আগে ও পরে পাস লাগে। যাহোক শেষে ১২০০ টাকা করে প্রতিদিনের জন্য কেবিন ই নিয়ে ফেললাম। এখন কেবিন পাস হাতে আছে, তাই যখন তখন ঢুকতে বের হতে আর বাঁধা নেই। গত দুদিন মির্জাপুর থেকে গাজীপুর আসা ও যাওয়া করছি, অফিস করে সোজা রাতে আবারো হাসপাতালে, সকালবেলা আবার গাজীপুর অফিস করছি। এই হাসপাতালের পরিবেশ ও চিকিৎসা খুবই সুন্দর। নিরাপত্তা কড়াকড়ি। এখানে রাতে থাকার কেবিনের পরিবেশ খুবই চিমচাম, সময়ে সময়ে পালা করে নার্স আসছেন, ডাক্তার আছেন ঔষধ বলে দিচ্ছেন। এখানকার সবচেয়ে আশ্চর্য জিনিস হলো এযুগে এখনো এনালগ হলেও অাধুনিকতার ছোঁয়া আছে। মেইন ফটকের পাশে ভিতরে কাঁশার তৈরি লম্বা পাত আছে, সেই হাতে ২৪ ঘন্টা ই ধাপে ধাপে বাঁজানোর লোক আছে। ১,২,৩, ,, ২৪ ঘন্টাই হাতে বাঁজানো হয়। এটা রোগীদের জন্য সময়গত সুবিধে। পরিবেশটা অসাধারণ! দানবীর রনদা প্রসাদের ছবি, প্রতিষ্ঠাতার ছবি, ফুলের বাগান, খোলা দরজা ও জানালা, আলো ও ছায়া খুবই মায়াময়। প্রধান ফটকের বাহিরে ইর্মাজেন্সি অফিস, তথ্য অফিস, এখানে ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশের প্রতিটা ঔষধই পিন কোড দেয়া থাকে, তাই ঔষধ কুমুদিনীর নিজস্ব ফার্মেসী থেকেই কিনতে হয়। এখনকার প্রতীক হলো পদ্মফুল! প্রতিটা লেগুতেই তা চোখে পড়ে। এখানে ভারতের কাশ্মীরি ছাত্রীরা পড়াশোনা করে, পাশাপাশি অন্যান্য দেশের কিছু ছাত্র ছাত্রীও আছে।
এখানে দক্ষিণ পাশ দিয়ে খরস্রোতা লৌহজংয়ের শাখা নদী বয়ে গেছে, নদীর মাঝ দিয়ে দাঁড় টেনে ও বৈঠা দিয়ে পারাপারের নৌকা আছে। কিছুদিন এখানে থেকে কুমুদিনীর প্রেমে পড়ে গেলাম।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register