Mon 27 October 2025
Cluster Coding Blog

ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৫১

maro news
ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন - ৫১

ফেরা

চোপতা ছাড়িয়ে পিপলকোঠি, তারপর আরো কত নাম না জানা জনপদ ছুঁয়ে ছুটে চললো আমাদের গাড়ি। একসময় যোশীমঠ এসে ঘন্টাখানেক বিশ্রাম। এটিও খুব নামকরা তীর্থ স্থান, আদি শংকরাচার্য্য, এখানে জ্যোতি লিঙ্গের প্রতিষ্ঠা করেন। শীতকালে কেদারনাথের পূজা যেমন হয় উখিমঠে, তেমন প্রবল ঠান্ডা আর তুষারপাতে বদ্রীধাম বন্ধ হলে বদ্রীবিশালের পুজো হয় এখানে। শূন্য মন্দির পাহারা দেয় অনির্বাণ দীপের শিখা। এক পান্ডার মুখে শুনেছিলাম যে কোলকাতার এক রায়বাহাদুর বিশ্বাস করেননি যে ছয় মাস ধরে শিখা জ্বলে থাকবে বদ্রীনাথ মন্দিরে। দূর্গা পূজার পর, নিজে হাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে পান্ডাদের সামনে মন্দিরে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ছয় মাস পরে, নিজে হাতে তালা খুলে দেখেছিলেন, স্যাঁতসেঁতে ঘর, পুরু ধুলো প্রমাণ দিচ্ছে এ ঘর খোলা হয়নি। কিন্তু এক কোনায় তাঁর হাতে জ্বালানো দীপশিখা আগের মতোই অনির্বাণ। সাষ্টাঙ্গে প্রনাম করেছিলেন রায় সাহেব, চারিদিক মুখরিত হয়েছিল বদ্রীনাথের জয়ধ্বনিতে। সেই তীর্থে যখন পৌঁছলাম আমরা, তখন সন্ধ্যা সমাগতপ্রায়।ঝড় উঠেছে চারিদিক কাঁপিয়ে। আর প্রবল ঠান্ডা। কোনো মতে ভারত সেবাশ্রমের খাতায় নাম লিখিয়ে হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে লেপের তলায় আশ্রয় নিলাম। একটু পরেই চা নিয়ে এলো এক সেবক। খেয়ে একটু শান্তি পেলাম।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register